Showing 9 Result(s)
২২ শে আষাঢ়

২২ শে আষাঢ়

আমার জন্ম হয়েছিল ২২ আষাঢ় ফজরের ওয়াক্তে। বাবা-মায়ের ৮ জন কন্যা সন্তানের পর আমার জন্ম—পরিবারের সবাই কেমন খুশি হয়েছিল তা আমি ভেবে শেষ করতে পারি না। ঘরের পিছনের বারান্দায় মা যখন সারারাত আতুর ঘরে, সামনের বারান্দায় চালু ছিল দাদার দরবার। সবাই নির্ঘুম, টেনশন, এবাদত-বন্দেগীতে ব্যস্ত। ছেলের জন্ম হয়েছে দেখে শুকরিয়া-খুশি-আনন্দে কার চোখে কতটা পানি এসেছিলো …

ভদ্রগোছের চুলের ছাট

ভদ্রগোছের চুলের ছাট

কলবাড়ি হাট তখন জমজমাট ছিল না। মজুমদার হাট কেন্দ্রিক ছিল আমাদের গ্রাম্য জীবন। প্রত্যেক রবি আর বিষ্যুদবার হাট মিলতো। সাথে সাথে মিলতো শিবু যোগীর থেকে কড়া রং দেওয়া চালতার আচার কিনে খাওয়ার সুখ। কিন্তু এক দেড় মাসে এক-দুইবার আমার আসতো দুঃখ। এই দুঃখ চুল কাটাইতে গিয়া অপমান-অপদস্ত হওয়ার দুঃখ। ওয়াপদার রাস্তার পরে নদীর আগে উঁচু …

মাম্পুর জন্য মায়া

মাম্পুর জন্য মায়া

মাম্পুর ভাল নাম জাহাঙ্গীর। মায়ের নাম জয়নব। জয়নব হুবাম্মা। মামার নাম ছোহরাপ মাঝি। বাপের নাম আমরা কেউ জানি না। তার বাপেরে আমরা কেউ দেখি নাই। হুবাম্মা হইলো ফুফু আম্মার বিবর্তিত রূপ। ফুফু আম্মা থেকে ফুফাম্মা সেখান থেকে হুবাম্মা। জয়নব হুবাম্মার বিয়া হইছিল দক্ষিণের একটা গ্রামে। কি কারণে তার জানি ছাড়াছাড়ি হইয়া যায়। এরপর থেকে তিনি …

আমার ক্রিকেট টিমের দয়াল সিকদারের গল্প

আমার ক্রিকেট টিমের দয়াল সিকদারের গল্প

শৈশবে হাডুডু-ডাংগুলি-বৌছি-বোমবাস্টিং—কতসব গ্রামীণ খেলার ব্যস্ত থাকতাম! বড় হচ্ছিলাম, খেলার মধ্যে আস্তে আস্তে ক্রিকেট ঢুকে গেলো। অল্প সময়ের মধ্যেই সবাইকে বাদ দিয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠলো। ক্রিকেট ক্রেজ। সেই ১৯৯৮-৯৯ সালের দিকে। কাঠ দিয়া নিজেদের বানানো ব্যাট আর টেনিস বল দিয়া শুরু। তাল গাছের ডগাও মাঝে মাঝে ব্যাট হতো আমাদের। এরপর রাবার ডিউস বল, আরো পরে …

থাপ্পরের লগে লগে যে রেডিও চলতো:আমার ছোটকাল থেকে বড় হয়ে ওঠার নিয়মিত সঙ্গী

থাপ্পরের লগে লগে যে রেডিও চলতো:আমার ছোটকাল থেকে বড় হয়ে ওঠার নিয়মিত সঙ্গী

ছোটকাল থেকে আমাগো ঘরে তিনটা রেডিও ব্যবহার হইতে দেখছি। বুঝতে শেখার পর থেকে দেখি তিন ব্যাটারির একটা রেডিও; লম্বা-চওড়া টাইপ, সুতলি দিয়া শক্ত কইরা বান্ধা। ধরতে ধরতে সুতলি কালা হইয়া গেছে। সবসময় এইটা চালু করন যাইতো না, কয়েকখান থাপ্পর লাগাইলে চলতো। আবার ঘ্যানর-ঘ্যানর করলে আবার থাপ্পর। এইভাবে থামতো আবার চলতো। ও.. চামড়ার একটা কভারও ছিল। …

আমার একটা টিয়া ছিল

আমার একটা টিয়া ছিল

কিশোর বয়সে তিনটা প্রাণী আমি পালতাম। একটা গাভী, টিয়া আর নুসরাত। গাভীটাকে ছোট দামড়ি বাছুর থেকে বড় করেছি- ঘাস কাটা, মাঠে (কোলায়) বান্ধা, খড়কুটা খাওয়ানো, গোসল করানো—সবই করেছি। পরে নিজের হাতে দুধ দোহন করেছি। নুসরাতের জন্মের কয়েক ঘণ্টা পরে সেলিনা আপু মারা যায়। এরপর মা, ছালু, আমি আর আব্বা মিলে ওরে বড় করি। নুসরাতকেই দেখেছি …

ক্ষমা করে দিস বাদল

২০১০ সালের ১৭ এপ্রিল ফেসবুক নোট আকারে লিখেছিলাম। পরে দৈনিক আমার দেশ’র পাঠক মেলা পাতায় প্রকাশিত হয়েছিল। তুই বাদল কাজী, এখন অতীত। ১৬ এপ্রিল ভোরবেলা থেকে তুই অতীত হয়ে গেছিস সবাই জানল। যদিও তোর অতীত হওয়ার ঘটনা এই পৃথীবি জেনেছে রাতেই। রাতের নিস্তধ্বতাই তার একমাত্র সাক্ষী, রহস্যভেদী জানলেওয়ালা। শামীম, আসাদ, সাহাদাত , তুই আর আমি …

আমার ডিজিটাল চিঠিটা আপু এডিট করে…………………

আমার ডিজিটাল চিঠিটা আপু এডিট করে…………………

ছোটবেলায় রেডিওতে একবারই মাত্র চিঠি লিখেছিলাম। রেডিওর উচ্চারণে নিজের নামটা শুনেছিলাম। অনেক বছর পরে আজ জীবনের প্রথমবারের মত রেডিওতে ডিজিটাল চিঠি (এসএমএস) লিখলাম। লিখার কারণটা না হয় নাই বললাম। তবে সুকন্ঠী আপুর প্রোগামটা জীবনে প্রথমবার শুনলাম। আপুর নাম আরজে দীনা। প্রোগামটা রেডিও আমার -এ। যখন এসএমএস করি তার একটু পরেই সাড়ে আটটার খবর শুরু হয়ে …

ফুফাতো বোনের বিয়েতে গিয়া দেখি আমার জেনারেশনের ‘বেইল’ নাই। কোকড়ানো চুলের কণিকা’র বিয়া হইছে কিনা সেটাও জানা হয় নাই।

ফুফাতো বোনের বিয়েতে গিয়া দেখি আমার জেনারেশনের ‘বেইল’ নাই। কোকড়ানো চুলের কণিকা’র বিয়া হইছে কিনা সেটাও জানা হয় নাই।

বাড়ি গেলাম ফুফাতো বোনের বিয়েতে। আমার চেয়ে বয়সে বড় এমন ফুফাতো-খালাতো-মামাতো-চাচাতো বোনদের মধ্যে এটা সর্বশেষ বিয়ে। এরপর যেক’জন আছে তারা আমার চেয়ে ছোট। খুব করে মজা করার এটাই আমার জন্য সর্বশেষ সুযোগ ছিল। তাই পরীক্ষার দোহাই সত্ত্বেও তিনদিনের জন্য বাড়ি চলে গেলাম। প্রত্যাশা একটু বেশি-ই ছিল। বরের জন্য গেট সাজাবো, বরের আসন সাজাবো, আরো কোন …