Showing 9 Result(s)

সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রসঙ্গে আমাদের অবস্থান

সংবিধান সংস্কারের জন্য গঠিত ড. শাহদীন মালিক কমিশনের কার্যপরিধি এবং অন্যান্য সদস্যদের নাম এখনো ঘোষণা করা হয় নাই। কিন্তু জুলাই-বিপ্লবের পর সংবিধান সম্পর্কে গণমাধ্যমে দেওয়া ড. মালিকের কিছু মতামত সংবিধান সম্পর্কে তার বোঝাপড়া এবং জুলাই-বিপ্লবের স্পিরিট তিনি কতটুকু ধারণ করতে পারছেন, সেবিষয়ে আমাদেরকে ক্রিটিকাল করে তুলেছে। শুরুতে আমরা দেখে আসি মি. মালিক আসলে কি বলেছেন। …

জুডিসিয়ারি ও সংবিধান সংস্কারের আলাপে দুইটা নোক্তা

জুডিসিয়ারির সংস্কার আসলে শুরু হয়ে গেছে। আপাত এই সংস্কারকে আপনারা শুধু কিছু বিচারকের বদলি কিংবা সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়া বুঝতে যাইয়েন না; সেইটাতো নতুন সরকার করতেছে। বিষয়টা আরো বড় আকারে শুরু হয়েছে, জুডিসিয়ারির ভিতর থেকেই শুরু হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হইলো এই সংস্কারের উদ্যোগ ও নেতৃত্বে সরকার নাই; আছে তরুণ বিচারকেরা। এই তরুণ বিচারকেরা …

বিপরীত বিধান নিয়েই টিকে আছে ইট পোড়ানো আইন ও বিধিমালা

বিপরীত বিধান নিয়েই টিকে আছে ইট পোড়ানো আইন ও বিধিমালা

(২০১১ সালের লেখা। যায়যায়দিনে প্রকাশিত) বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় ১৯৮৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ইট পোড়ানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন ১৯৮৯ প্রকাশিত হয়। এরপর দুদফায় আইনটির সংশোধন হয়। প্রথমবার ১৯৯২ সালের ২২ নাম্বার এবং শেষবার ২০০১ সালের ১৭ নাম্বার আইন দ্বারা। আইনটিতে মোট ৯টি ধারা আছে। ৪ নাম্বার ধারার নিয়ম অনুযায়ী ইটের ভাটা স্থাপন করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা …

মোবাইল কোর্ট আইন নিয়ে বিতর্ক

(২০১১ সালের জুনে যায়যায়দিনে ছাপা হয়েছিল) মোবাইল কোর্ট অধ্যাদেশটি ২০০৯ সালের ২৩ জুলাই অধ্যাদেশ আকারে জারি হয়। ২০০৯ সালের এটি ৬ নাম্বার অধ্যাদেশ। অধ্যাদেশটি পরে জাতীয় সংসদে ২০০৯ সালের ৫৯ নাম্বার আইন হিসেবে পাস হয়। হরতালের সময় এ আইনটির প্রয়োগ করে শত শত লোককে তাৎক্ষণিক শাস্তি দেয়া হয়। আইনটির সাংবিধানিকতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। বিতর্কিত এ …

মামলা প্রত্যাহারের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি

(২০১০ সালের লেখা) আমাদের দেশের কোনো আইনেই ‘রাজনৈতিক মামলা’র সংজ্ঞায়ন করা নেই। অথচ আইন-আদালতের প্রতিটি বিষয়ের সুস্পষ্ট সংজ্ঞায়ন দরকার সঠিক ব্যাখ্যা এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে। নতুবা আইনের বিষয়গুলোর অপব্যাখ্যা হতে পারে, সৃষ্টি হতে পারে নানা জটিলতার। ফলে বিঘ্নিত হতে পারে ন্যায়বিচার। এজন্যই প্রতিটি আইনে এরসঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষ বিষয়গুলোকে স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় …

বাংলাদেশের আইনপ্রণয়নের পদ্ধতিগত দুর্বলতা এবং বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর সাহসী বক্তব্য

২০১০ সালের লেখা বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী মানবাধিকার সংগঠন অধিকার আয়োজিত ‘সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ও রাজনৈতিক সহিংসতা : রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি’ শীর্ষক আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে সত্য এবং সাহসী বক্তব্য রেখেছেন। সেই বক্তব্য গণমাধ্যমে কিছুটা বিকৃতভাবে এসেছে। আর তাতে চটেছেন আইন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, যিনি নিজে একজন সংসদ সদস্য। এছাড়াও আইনমন্ত্রী …

আইনে ক্যামেরা ট্রায়াল

যায়যায়দিনে ছাপা হয়েছে। তারিখ ভুলে গেছি। ২০০৯ সালের লেখা। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীন ও নিরেপেক্ষ আদালতের যেমন আবশ্যকতা রয়েছে, তেমনি বিচার প্রক্রিয়াও প্রকাশ্যে হওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। অর্থাৎ নিরপেক্ষ আদালতে প্রকাশ্যে বিচারলাভ অভিযুক্ত ব্যাক্তির অধিকার। আর এ অধিকারকে আমাদের সংবিধানে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে মৌলিক অধিকার হিসেবে। সংবিধানের ৩৫(৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “ফৌজদারী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত …

নৌ-দূর্ঘটনার আইনগত প্রতিকার

নৌ-দূর্ঘটনার আইনগত প্রতিকার

লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছে কি না বা মালামাল যথাস্থানে রাখা হচ্ছে কি না- এসব তদারকির জন্য ঢাকা টার্মিনালে রয়েছে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে সার্বক্ষণিক মোবাইল কোর্ট। এ মোবাইল কোর্টকে কাজ করতে দেখা যায় খুব কমই।  ঝড়-বৃষ্টির ছাড়াও সারাবছরই নৌ-দুর্ঘটনা যেন আমাদের নিয়তির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্ঘটনার পর কিছুদিন সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়ে থাকে …

গণপিটুনি : আইন কি বলে

গণপিটুনি : আইন কি বলে

চোর-ডাকাত, পকেটমার কিংবা ছিনতাইকারী হাতেনাতে ধরা পড়েছে অথচ পুলিশের হাতে দেয়ার আগে তাকে পিটুনি বা গণপিটুনি দেয়া হয়নি এরকম ঘটনা খুব কমই ঘটে থাকে। হাতেনাতে ধরা পড়ার পর এ ধরনের অপরাধীকে গণপিটুনি দেয়াটা মোটামুটি বিধানে পরিণত হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত আইন ভঙ্গকারী এদেশের জনগোষ্ঠী এ বিধান পালনে যথেষ্ট তৎপর। অন্তত বাস্তব অবস্থাদৃষ্টে এবং পত্রিকার খবর অনুযায়ী …