Blog

২৭ জুলাই ২০০৮ মুহসীন হলে ভূমিকম্পের পর লেখা

২৭ জুলাই ২০০৮ মুহসীন হলে ভূমিকম্পের পর লেখা

মৃত্যুর ঝুকি নিয়ে বসবাস : সমাধান কার কাছে? তখন সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি। মুহসীন হলে থাকি। ২৭ জুলাই ২০০৮। ভূমিকম্প হল। এরপর পত্রিকায় ছাপানোর জন্য লিখেছিলাম। কোন পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল এখন মনে নাই।   গত ২৭ জুলাই ভূমিকম্প হওয়ার পর থেকে রাত অথবা দিন কিংবা রাত এবং দিনের কোন অংশ-ই নিরাপদে কাটাতে পারছেনা ঢকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলের …

নৌ-দূর্ঘটনার আইনগত প্রতিকার

নৌ-দূর্ঘটনার আইনগত প্রতিকার

লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছে কি না বা মালামাল যথাস্থানে রাখা হচ্ছে কি না- এসব তদারকির জন্য ঢাকা টার্মিনালে রয়েছে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে সার্বক্ষণিক মোবাইল কোর্ট। এ মোবাইল কোর্টকে কাজ করতে দেখা যায় খুব কমই।  ঝড়-বৃষ্টির ছাড়াও সারাবছরই নৌ-দুর্ঘটনা যেন আমাদের নিয়তির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্ঘটনার পর কিছুদিন সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়ে থাকে …

গণপিটুনি : আইন কি বলে

গণপিটুনি : আইন কি বলে

চোর-ডাকাত, পকেটমার কিংবা ছিনতাইকারী হাতেনাতে ধরা পড়েছে অথচ পুলিশের হাতে দেয়ার আগে তাকে পিটুনি বা গণপিটুনি দেয়া হয়নি এরকম ঘটনা খুব কমই ঘটে থাকে। হাতেনাতে ধরা পড়ার পর এ ধরনের অপরাধীকে গণপিটুনি দেয়াটা মোটামুটি বিধানে পরিণত হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত আইন ভঙ্গকারী এদেশের জনগোষ্ঠী এ বিধান পালনে যথেষ্ট তৎপর। অন্তত বাস্তব অবস্থাদৃষ্টে এবং পত্রিকার খবর অনুযায়ী …

দুর্গত মানুষ এবং মোনাজাতউদ্দিন; আমাদের আবেগ, ভালোবাসা এবং কোম্পানীগুলোর ব্যবসা

চারণ সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন তাঁর এক লেখায় বলেছেন, মাথা উঁচু করে পথ হাঁটি। কিন্তু মাথা নত হয়ে যায় বিবেকের কাছে। সাংবাদিকতার নামে এ আমি কি করছি! এটা কি রীতিমতো একটা ব্যবসা হয়ে যাচ্ছে না? মানুষের দুর্ভোগ-দুর্গতি নিয়ে ব্যবসা। অনাহারী মানুষ আমার ব্যবসার পুঁজি। দুস্থ-দুঃখী মানুষ আমার সুনাম এবং অর্থ। তারাই স্বর্ণপদক, ফিলিপস পুরস্কার, আইডিই পুরস্কার, ইত্যাদি। …

সমগ্র বাংলাদেশ ।।  নয়জন

সমগ্র বাংলাদেশ ।। নয়জন

আমরা নয়জন তরুণ। ঠাকুরগাও-এর মুকুল মুস্তাফিজ, বাগেরহাটের সবুজ শেখ, পটুয়াখালীর জহিরুল ইসলাম মুসা, চাঁদপুুরের আব্দুল্লাহ আল আমান, পিরোজপুরের সাইদুর রহমান, সাতক্ষীরার খালিদ ইয়াহইয়া, বরিশালের ফয়জুল্লাহ ফয়েজ, নাটোরের আফজাল হোসেন ও বরগুনার তারিকুল ইসলাম। সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ৩৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। নয়জন তরুণের দলের নাম হয়ে গেল ‘আমরা নয়জন’। আমরা ঠিক করলাম কয়েকটি পর্যায়ে …

ইতালিয়ান প্রফেসরের সাথে একদিন, বেশকিছু স্মৃতি এবং ডলারে প্রথম ইনকাম

লেখাটা ২০০৯ সালের। Center for Excellency তে এর আগে কখনো আমি যাইনি। আমাদের বিশ্ববিদ্যায়ের মধ্যেই এত সুন্দর, পরিপারি একটা পরিবেশ আছে আগে জানতামও না। ভালো একটা আবসিক হোটেলের সবকিছুই এখানে আছে। বিদেশী যেসব মেহমান এখানে থাকেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের গণরুমের নিদারুন অবস্থা তাদের জানবার কথা না। এখানে থেকে গেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ভাল একটা ধারণা …

লঞ্চে দেখা দুইটি বিশ্বকাপ ফাইনাল। এক কিশোরের কান্না এবং সাহরী খাওয়ার ১১ মিনিট বাকী আছে।

লঞ্চে দেখা দুইটি বিশ্বকাপ ফাইনাল। এক কিশোরের কান্না এবং সাহরী খাওয়ার ১১ মিনিট বাকী আছে।

এক কিশোরের কান্না ভেজা একটি রাত। ২০০৬ সালের ৯ জুলাই। বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলছিল ফ্রান্স আর ইতালি। কিশোর বাড়ি থেকে ঢাকা আসছিল। লঞ্চে। নিচতলায় শুধুমাত্র একটা টিভিতে বিটিভি কানেক্ট করে খেলা দেখানো হচ্ছিল। অনেক ভিড় ঠেলেঠুলে টিভির খুব কাছে গিয়ে বসতে পারল সে। ৯০ মিনিট শেষে ১-১ গোল। অতিরিক্ত সময়ের খেলা শুরু হলো। প্রিয় জিনেদিন …

ঢাকার গিজগিজ নববর্ষ বরণ বাদ দিয়া ‘ত্রেস এ্যামিগোস’ গেল মুন্সী আর নারায়নে। একলগে।

ঢাকার গিজগিজ নববর্ষ বরণ বাদ দিয়া ‘ত্রেস এ্যামিগোস’ গেল মুন্সী আর নারায়নে। একলগে।

ত্রেছ এ্যামিগোস ভায়াজিন্তি। আসলে আনকমন কিছু না। ‘থ্রি ফেন্ডস ট্রাভেলারস’- এইটাকে পর্তুগিজ ভাষায় গুগল তরজমা করেছে। আমি, আমান আর মুকুল- এই তিন বন্ধু একসঙ্গে দেশের বহু এবং বিদেশের কিছু জায়গা সফর করেছি। তিনজনের দলের একটা নাম দরকার। গুগল আমাকে সাহায্য করেছে। আনকমন নামে মানুষজনের আগ্রহ থাকে। ব্রান্ড হয়ে যায়। আইন বলে, আনকমন নামের ট্রেডমার্ক পাওয়াও সহজ। …

আমার ডিজিটাল চিঠিটা আপু এডিট করে…………………

আমার ডিজিটাল চিঠিটা আপু এডিট করে…………………

ছোটবেলায় রেডিওতে একবারই মাত্র চিঠি লিখেছিলাম। রেডিওর উচ্চারণে নিজের নামটা শুনেছিলাম। অনেক বছর পরে আজ জীবনের প্রথমবারের মত রেডিওতে ডিজিটাল চিঠি (এসএমএস) লিখলাম। লিখার কারণটা না হয় নাই বললাম। তবে সুকন্ঠী আপুর প্রোগামটা জীবনে প্রথমবার শুনলাম। আপুর নাম আরজে দীনা। প্রোগামটা রেডিও আমার -এ। যখন এসএমএস করি তার একটু পরেই সাড়ে আটটার খবর শুরু হয়ে …

ফুফাতো বোনের বিয়েতে গিয়া দেখি আমার জেনারেশনের ‘বেইল’ নাই। কোকড়ানো চুলের কণিকা’র বিয়া হইছে কিনা সেটাও জানা হয় নাই।

ফুফাতো বোনের বিয়েতে গিয়া দেখি আমার জেনারেশনের ‘বেইল’ নাই। কোকড়ানো চুলের কণিকা’র বিয়া হইছে কিনা সেটাও জানা হয় নাই।

বাড়ি গেলাম ফুফাতো বোনের বিয়েতে। আমার চেয়ে বয়সে বড় এমন ফুফাতো-খালাতো-মামাতো-চাচাতো বোনদের মধ্যে এটা সর্বশেষ বিয়ে। এরপর যেক’জন আছে তারা আমার চেয়ে ছোট। খুব করে মজা করার এটাই আমার জন্য সর্বশেষ সুযোগ ছিল। তাই পরীক্ষার দোহাই সত্ত্বেও তিনদিনের জন্য বাড়ি চলে গেলাম। প্রত্যাশা একটু বেশি-ই ছিল। বরের জন্য গেট সাজাবো, বরের আসন সাজাবো, আরো কোন …