জুডিসিয়ারির সংস্কার আসলে শুরু হয়ে গেছে। আপাত এই সংস্কারকে আপনারা শুধু কিছু বিচারকের বদলি কিংবা সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়া বুঝতে যাইয়েন না; সেইটাতো নতুন সরকার করতেছে। বিষয়টা আরো বড় আকারে শুরু হয়েছে, জুডিসিয়ারির ভিতর থেকেই শুরু হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হইলো এই সংস্কারের উদ্যোগ ও নেতৃত্বে সরকার নাই; আছে তরুণ বিচারকেরা।
এই তরুণ বিচারকেরা এনার্জেটিক, তাদের জুরিসপ্রুডেন্সিয়াল বোঝাপড়া ভালো, এবং সবচেয়ে বড় কথা তারা কোর্টের সার্ভিস ইউজার তথা মানুষের জন্য দরদ দিয়া কাজ করে। তাদের নিজেদের বিচারিক কাজকর্মে সেইটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। উচ্চ আদালতে মামলা পরিচালনা করতে গিয়া তাদের অনেকের প্রদত্ত আদেশ ও রায় আমি নিজে দেখেছি এবং তাদের বিচারিক প্রজ্ঞা, আইনের ব্যাখ্যা ও সাহসিকতায় বারবার মুগ্ধ হয়েছি।
তো, তরুণ বিচারকেরা সংগঠিত হয়ে ‘ইয়াং জাজেস ফর জুডিসিয়াল রিফর্ম’ গঠন করেছেন এবং অধস্তন আদালতের বিচারকদের ফোরাম ‘জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন’কে ফ্যাসিবাদি খপ্পর থেকে উদ্ধার করেছেন। এছাড়াও তারা সংস্কার প্রশ্নে আলাদাভাবে প্রস্তাবনা দিয়েছেন।
আমাদের স্পষ্ট কথা হলো, বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমানের নেতৃত্বে জুডিসিয়ারির সংস্কারের জন্য যে কমিশন সরকার গঠন করেছে, সেখানে তরুণ বিচারকদের যথাযথ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। তেমনিভাবে এই কমিটির অন্যান্য সদস্য নির্বাচনে তরুণ আইনজীবীদের গুরুত্ব দিতে হবে এবং ঢাকার বাইরের ঝানু আইনজীবীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
আর ড. শাহদীন মালিকের নেত্বেত্বাধীন সংবিধান সংস্কার কমিটিতে উকিলের সংখ্যা কমাইতে হবে। সংবিধান বানাবে গণমানুষ। পুরোনো-বাতিল-ব্যর্থ মুরুব্বীরা জায়গা পাবেন না। তরুণ নেতৃবৃন্দ দরদ দিয়া জনআকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাবেন।
আমরা সংস্কার কমিটি গঠনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। উভয় কমিটির কার্যক্রমে সহযোগিতা করবো। কিন্তু আমরা নজর রাখবো এবং ক্রিটিকাল থাকবো।
Leave a Reply