ছোটবেলায় রেডিওতে একবারই মাত্র চিঠি লিখেছিলাম। রেডিওর উচ্চারণে নিজের নামটা শুনেছিলাম। অনেক বছর পরে আজ জীবনের প্রথমবারের মত রেডিওতে ডিজিটাল চিঠি (এসএমএস) লিখলাম। লিখার কারণটা না হয় নাই বললাম। তবে সুকন্ঠী আপুর প্রোগামটা জীবনে প্রথমবার শুনলাম। আপুর নাম আরজে দীনা। প্রোগামটা রেডিও আমার -এ।
যখন এসএমএস করি তার একটু পরেই সাড়ে আটটার খবর শুরু হয়ে যায়। বাংলাদেশ বেতারের লম্বা সরকারী খবর। এরপর আবার রেডিও আমার এর অর্থ ও বাণিজ্য সংবাদ। এতক্ষণ ধরে মোবাইলটা (এফএম) আমার সাথে ছিল। চালু ছিল। অথবা আমি ঐ রেডিও স্টেশনের সাথে ছিলাম।
যাহোক। ভাবলাম এইবার আপু আমার সেই চিঠিটা পড়বেন। আরো দেরী হলো। একটা গান বাজানো হলো অথবা সং প্লে করা হলো। এরপর আসল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।
আপুর সুকণ্ঠে আমার নামটা উচ্চারিত হলো। আমাকে সুন্দর কমেন্টের জন্য আপু অনেক অনেক ধন্যবাদ দিল। কিন্তু আমার চিঠিটা সবাইকে পড়ে শুনালো না।
আমি কিন্তু হতাশ হয় নাই। কারণ আপুর উদ্দেশ্যে আমার চিঠিটা ছিলো পারসোনাল। আর ব্যাক্তিগত চিঠিতো সবাইকে শুনাতে হয় না; তাই না?
তবে আমি সেই চিঠিটা আপনাদের না শুনাইয়া বরং পড়াই।
পড়েন, apu, i like you better than your program only for your sweet, cute, stylish and ……voice.
শুনেছি আপু নাকি কালকে বই মেলায় আসবেন। আমি আপুকে পেলে আমার চিঠি এডিটের কারণটা পারসোনাল্যি জেনে নিতে পারতাম।
Leave a Reply